آداب السلام والاستئذان
আসমা বিনত ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের ভেতর দিয়ে গেলেন, তখন নারীদের একটি দল সেখানে বসেছিল, তিনি হাতের ইশারায় তাদেরকে সালাম দিলেন। এখানে উদ্দেশ্য শব্দ করে ও হাতের ইশারায় সালাম দিয়েছেন, যার প্রমাণ আবূ দাঊদের হাদীস, “তিনি আমাদেরকে সালাম দিলেন।”
عن أسماء بنت يزيد -رضي الله عنها-: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- مَرَّ في المسجد يوما، وَعُصْبَةٌ من النساء قُعُودٌ، فَألْوَى بيده بالتسليم. وهذا محمول على أنه -صلى الله عليه وسلم- جمع بين اللفظ والإشارة، ويؤيده أن في رواية أبي داود: فسلم علينا.
شرح الحديث :
হাদীসের অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের ভেতর দিয়ে গেলেন, তিনি সেখানে একদল নারীকে বসা পেলেন, ফলে তিনি তাদেরকে হাতের ইশারায় সালাম দিলেন। এখানে ইশারা করার উদ্দেশ্য হাতের ইশারায় যথেষ্ট করেছেন মুখে সালাম উচ্চারণ করেন নি এমন নয়। কারণ, এখানে ইমাম নববী রহ. আবূ দাঊদের বর্ণনার দিকে ইশারা করেছেন, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তিনি তাদেরকে শব্দেই সালাম দিয়েছেন, যেমন “তিনি আমাদেরকে সালাম দিলেন।” হতে পারে তারা দূরে বসে ছিল, এ জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতে ও শব্দ করে সালাম দিয়েছেন। জ্ঞাতব্য যে, মাহরাম নারীদের সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং তাদের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব, আর পুরুষ যদি নারীদের জামা‘আতে সালাম দেয় তাতেও সমস্যা নেই -হাদীসের বাহ্যিক অর্থ তাই বলছে, তবে ফিতনার আশঙ্কামুক্ত হওয়া শর্ত। আর যদি নারী একা থাকে সালাম দিবে না, তবে নারী যদি বৃদ্ধ আকর্ষণহীন হয় সালাম দিবে, যেহেতু তাতে ফিতনার আশঙ্কা নেই। আর যদি ফিতনার আশঙ্কা থাকে সালাম দিবে না, এজন্য মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়েছে, বাজারে কোনো নারীর সাথে সাক্ষাত হলে তাকে সালাম না দেওয়া।এটাই ঠিক। হ্যাঁ, যদি তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ কর এবং সেখানে তোমার পরিচিত নারীদের পাও, তাহলে ফিতনার আশঙ্কা না হলে সালাম দিতে সমস্যা নেই। যখনই ফিতনা মুক্ত হবে সালামের অবকাশ আছে, কিন্তু ফিতনার আশঙ্কা কিংবা ক্ষতির আশঙ্কা হলে সালাম দিবে না। অনুরূপভাবে নারীরাও পুরুষদের সালাম দিবে না। ইমান নববী রহ.বলেন, নারীরা যদি একত্রে থাকে, তাহলে তাদেরকে সালাম দিবে, আর যদি অপরিচিত বৃ্দ্ধা অনাকর্ষণীয় নারী হয়, তাকে সালাম দেওয়া ও তার সালামের উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। তাদের দু’জন থেকে যে সালাম দিবে, অপরের পক্ষে তার উত্তর দেওয়া জরুরি। আর যদি যুবতী হয় অথবা আকর্ষণীয় বৃদ্ধা হয়, তাহলে অপরিচিত ব্যক্তি তাকে সালাম দিবে না এবং সেও অপরিচিত পুরুষকে সালাম দিবে না। আর তাদের থেকে যে সালাম দিবে সে উত্তর পাওয়ার উপযুক্ত হবে না।” সমাপ্ত।