أحكام النساء
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: “স্বীয় স্ত্রীকে কি কারণে প্রহার করল সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে না”।
عن عمر بن الخطَّاب -رضي الله عنه- مرفوعًا: «لا يُسأَل الرَّجُلُ: فيمَ ضَربَ امْرَأَتَه؟».
شرح الحديث :
হাদীদসটি আল্লাহর বাণী “আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান”। [সূরা নিসা: ৩৪] এর আয়াতের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরা প্রহার করা সর্বশেষ স্তর। একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে এমন বিষয়ে প্রহার করে যা উল্লেখ করতে সে লজ্জাবোধ করে। যখন একজন ব্যক্তি আল্লাহকে ভয়কারী হবে এবং সে তার স্ত্রীকে প্রহার করে তখন তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে না। আর যে ব্যক্তি খারাপ চরিত্রের হবে তাকে অবশ্যই কি কারণে স্ত্রীকে মারল তা জিজ্ঞাসা করা হবে। কারণ, তার কাছে এমন তাকওয়া নেই যা তাকে তার স্ত্রীর ওপর জুলুম করা বা প্রহার করা থেকে ফিরিয়ে রাখবে, ফলে সে মারার অধিকার রাখে না।