الغسل
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় প্রতিটি লোমকূপে নাপাকী আছে। অতএব তোমরা লোমকূপ উত্তমরূপে ধৌত করো এবং দেহের চামড়া পরিষ্কার করো।”
عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: «إن تحت كلِّ شَعْرَة جَنَابة، فاغْسِلوا الشَّعْر, وأَنْقُوا البَشَر».
شرح الحديث :
হাদীসের অর্থ: “নিশ্চয় প্রতিটি লোমকূপে নাপাকী আছে” এই বাক্যের দু’টি অর্থ: এক. বাহ্যিক অর্থের ওপর প্রয়োগ করা হবে। তখন অর্থ হবে, প্রতিটি লোমকূপের নিচে দেহের সুক্ষ্ম অংশ রয়েছে যার সাথে নাপাকী মিশে আছে। ঐ অংশে পানি পৌঁছানোর দ্বারা সেটা দূর করা খুব জরুরী। দুই. মাথার চুল, দাঁড়ি ও অন্যান্য লোমের গোড়ায় পানি পৌঁছানের বিষয়ে বিশেষ যত্মবান হওয়ার ওপর প্রয়োগ করা হবে। “অতএব, তোমরা লোমকূপ উত্তমরূপে ধৌত করো” অর্থাৎ মাথা ও দেহের সমস্ত চুল পানি পৌঁছানোর মাধ্যমে ধৌত কর। ঘন চুল ও পাতলা চুল এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। “দেহের চামড়া পরিষ্কার করো” শরীরের চামড়ার উপর পানি পৌঁছতে বাঁধার সৃষ্টি করে, যেমন, আটা, মাটি, মোম ইত্যাদি, এমন সবকিছু দূর করে দেহের চামড়া পরিষ্কার করতে হবে, যদি কোন ব্যক্তির চামড়ায় পানি পৌঁছতে বাধা দেয় এমন কিছু থাকা অবস্থায় গোসল করে, সে নাপাকী থেকে পাক হবে না, যদিও বাঁধা দানকারী বস্তুর পরিমাণ কম হয়, হাদীসটি যদিও দূর্বল, তবে অন্যান্য বিশুদ্ধ দলীলের কারণে বলা বাহুল্য যে ফরয গোসলে সারা শরীরকে পানি দিয়ে ধোয়া জরুরী।