فضائل الذكر
আবু মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের একটির সন্ধান দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বলেন, ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।” নাসাঈতে আরো অতিরিক্ত এসেছে, «ولا مَلْجَأَ من الله إلا إليه» আর আল্লাহর পাকড়াও থেকে তাঁর কাছে ব্যতীত আর কোনো আশ্রয় স্থান নেই।
عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قال: قال لي رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: «يا عبد الله بن قيس، ألا أَدُلُّكَ على كنز من كنوز الجنة؟ لا حول ولا قوة إلا بالله». زاد النسائي: «ولا مَلْجَأَ من الله إلا إليه».
شرح الحديث :
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের বড় একটি গুপ্তধনের সন্ধান প্রদান করেন। যা বান্দার এমন সময়ের জন্য জমা ও গচ্ছিত রাখা হবে যখন সে উক্ত গুপ্তধন ও সম্পদের প্রতি একান্ত মুখাপেক্ষী হবে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন, সে গুপ্তধন হলো, ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।” (আল্লাহ ব্যতীত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কোনো সামার্থ নেই, আবার তিনি ব্যতীত আনুগত্যের ওপর অটল থাকারও কারো কোনো শক্তি নেই)। এ কালেমাগুলো গুপ্তধনের মতো যা বান্দার ধন-সম্পদের চেয়েও অনেক মূল্যবান। এ কালেমা পড়ায় রয়েছে অপরিসীম সাওয়াব। এ সাওয়াব বান্দার জন্য কিয়ামতের দিনে আল্লাহর কাছে গচ্ছিত থাকবে। এ কালেমার এতো সাওয়াবের কারণ হলো, এর মাধ্যমে যাবতীয় কাজে বান্দা নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে দেয় ও তাঁর ওপর নির্ভর করে। আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোনো কিছুতেই বান্দা সামর্থবান নয়। সুতরাং সে নিজেকে সব ধরনের সামর্থ্য ও সব রকমের শক্তি থেকে মুক্ত ঘোষণা করছে এবং তাঁর কাছে থাকা সব রকমের ক্ষমতা থেকেও; যদি না সে সাহায্যকারী হোন আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং। আর আল্লাহ যদি তোমার কোনো ক্ষতি চান তাহলে কেউ তার থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না। কারণ তিনি ব্যতীত কোনো আশ্রয়দানকারী নেই এবং তাঁর কাছে ব্যতীত অন্য কারও কাছে পলায়ন করে যাবারও স্থান নেই। সুতরাং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিতেই রয়েছে সুরক্ষা।