الأخلاق الحميدة
‘ইয়ায ইবন হিমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “জান্নাতী তিন প্রকার। (১) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, যাকে ভালো কাজ করার তওফীক দেওয়া হয়েছে (২) ঐ ব্যক্তি যে প্রত্যেক আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিমের প্রতি দয়ালু ও কোমল-হৃদয় এবং (৩) সেই ব্যক্তি যে বহু সন্তানের (গরীব) পিতা হওয়া সত্ত্বেও হারাম ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দূরে থাকে।
عن عياض بن حمار -رضي الله عنه- مرفوعاً: «أهل الجنة ثلاثة: ذو سلطان مُقْسِطٌ مُوَفَّقٌ، ورجل رحيم رقيق القلب لكل ذي قربى ومسلم، وعفيف مُتَعَفِّفٌ ذو عيال».
شرح الحديث :
এ হাদীসটিতে ক্ষমতাশীলকে মানুষের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার এবং আত্মীয় বান্ধবদের প্রতি রহমত, দয়া ও মেহেরবানী করার গুণে গুনান্বিত হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। সে মানুষের সাথে অধিক মিশবে এবং তাদের প্রতি দয়া করবে। এ ছাড়াও এতে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়ার প্রতি এবং যার সন্তান বেশি যাদের সে লালন পালন ও তাদের জন্য খরচ করে, তার জন্য চাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি না করার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি এ সব গুণে গুনান্বিত হবে তার বিনিময় হবে জান্নাত। আর (তিন) সংখ্যার অর্থ এখানে ধর্তব্য নয়। সুতরাং জান্নাতিগণ এর দ্বারা নির্ধারিত নয়। তা শুধু শ্রোতার ওপর সহজ করতে এবং দ্রুত কথাটি সংরক্ষণ করতে ও বোঝার সহজের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।