فضل الجهاد
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান ও তার প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাস রেখে আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ঘোড়া প্রস্তুত রাখে, কিয়ামতের দিন তার আমেলের পাল্লায় ঘোড়ার খাদ্য, পানীয়, গোবর ও পেশাব ওজন করা হবে।”
عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: «مَنْ احْتَبَسَ فَرَسًا في سَبِيل الله، إيمانًا بالله، وتَصْدِيقًا بِوَعْدِه، فإن شِبَعَهُ وريَّه ورَوْثَهُ وبَوْلَه في مِيْزَانه يوم القيامة».
شرح الحديث :
হাদীসের অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান ও তাঁর প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাস রেখে আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের প্রত্যাশায় ঘোড়া ওয়াকফ করে রাখে, যাতে তার উপর আরোহন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুজাহিদগণ যুদ্ধ করতে পারে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা ঘোড়ার খাদ্য, পানীয়, গোবর ও পেশাবের বিনিময়ে সাওয়াব প্রদান করবেন। এমনকি কিয়ামতের দিন এগুলো তার নেক আমলের পাল্লায় রাখবেন। কেননা আল্লাহ বলেছেন, “আর তোমরা যা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণ দেওয়া হবে।” (সূরা আল- আনফাল, আয়াত: ৬০) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসে এসেছে, “ঘোড়া তিন প্রকার: ঘোড়া কারো জন্য পাপ অর্জনের কারণ হয়। আবার কারো জন্য হয় আবরণ। আর কারো জন্য তা হয় সাওয়াবের কারণ। অতঃপর তিনি বললেন, যে ঘোড়া মালিকের জন্য সাওয়াবস্বরূপ হয় তা ঐ ব্যক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বাগান বা সবুজ তৃণভূমিতে বেঁধে রাখে। ঘোড়াটি ঐ চারণভূমি কিংবা বাগান থেকে যে পরিমাপ ভক্ষণ করে এর বিনিময়ে তাকে সাওয়াব দেওয়া হয়। এমনকি এর মল-মূত্রের বিনিময়েও তাকে সমপরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হয়। আর ঘোড়াটি যদি তার রশি ছিড়ে এক বা দু’টি টিলা অতিক্রম করে তবে তার প্রতিটি পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও তাকে সাওয়াব দেওয়া হয়। মালিক ঘোড়াটি নিয়ে কোন নদী অতিক্রম করলে মালিকের অনিচ্ছা সত্বেও সেসময় ঘোড়াটিকে যদি নদী থেকে পানি পান করে ফেললে, তাহলে যে পরিমাণ পানি পান করে তাকে সে পরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হয়।” (বুখারী ও মুসলিম)