المجتمع المسلم
উক্ত সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “সে ব্যক্তি সম্পর্ক রক্ষাকারী নয় যে কেবল পরিপূর্ণভাবে শোধ করে। বরং সেই তো প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হলে তা জোড়া লাগায়।”
عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: «ليس الواصل بالمُكَافِئِ ، ولكنَّ الواصل الذي إذا قَطعت رحِمه وصَلَها».
شرح الحديث :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: “পরিশোধকারীকে সম্পর্ক স্থাপনকারী বলা যাবে না” এর অর্থ: আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও আত্মীয়দের প্রতি দয়া করার ক্ষেত্রে সে লোক কামিল নয় যে ইহসানের বিনিময়ে ইহসান করে। বরং প্রকৃত আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী সে ব্যক্তি যার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করলে সে সম্পর্ক জোড়া দেয়, এমনকি যদি তারা তাকে কষ্ট দেয়, সে কষ্টের মোকাবেলা করে ইহসান দ্বারা। এ লোকই প্রকৃত আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী। সুতরাং একজন মানুষের ওপর দায়িত্ব হলো, নিকট আত্মীয়, প্রতিবেশি ও সাথীদের কষ্টের ওপর ধৈর্য ধারণ করা। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের বিপক্ষে তার জন্য একজন সাহায্যকারী সব সময় থাকবে। তিনি লাভবান হবেন আর তারা হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা হয় সম্পদ দিয়ে ও প্রয়োজনের সময় সহযোগিতা করে, অনিষ্ট দূর করে, মুখের হাসি দিয়ে এবং তাদের জন্য দো‘আ করে। মোটকথা, সাধ্য অনুযায়ী উপকার করা এবং ক্ষতিকে প্রতিহত করা। ইসলাম আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তবে যে আত্মরক্ষামূলক বা অনুশাসনের জন্যে সম্পর্ক রাখা ছাড়বে তার এ কাজ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অন্তর্ভুক্ত বলা যাবে না। যেমন, কেউ যদি মনে করে যে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করলে তার আত্মীয় সঠিক পথে ফিরে আসবে, দীনের বিরোধিতা করা ছেড়ে দিবে অথবা সে তার নিজের ও পরিবারের ব্যাপারে আশঙ্কা করে যে, যদি দীনের বিরোধিতার ওপর তাদের সাথে সম্পর্ক রাখে, তাহলে সংক্রমণ ব্যধি তার ও তার অধীনদের মাঝেও সংক্রমিত হবে।