فضل الجهاد
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সংশোধনকারী অধীনস্থ দাসের জন্য রয়েছে দু’টি নেকী।” (আবূ হুরায়রা বলেন,) ‘সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আবূ হুরায়রার জীবন! যদি আল্লাহর পথে জিহাদ, হজ ও আমার মায়ের সেবা না থাকত, তাহলে আমি পরাধীন গোলামরূপে মারা যাওয়া পছন্দ করতাম।’
عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: «للعبد المملوك المصلح أجران»، والذي نفس أبي هريرة بيده لولا الجهاد في سبيل الله والحج، وبِرُّ أمي، لأحببت أن أموت وأنا مملوك.
شرح الحديث :
হাদীসটির অর্থ: যখন গোলাম তার অবস্থা তার মুনীবের সাথে দুরস্ত করে। যেমন, তার মুনিব তাকে যে সব ভালো কাজের আদেশ করে সে ক্ষেত্রে তার অনুগত হয়ে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সে পালন করে এবং তার ওপর আরোপিত ওয়াজিবসমূহ আদায় করা এবং নিষিদ্ধ কর্মসমূহ হতে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর হক আদায় করে কিয়ামাতের দিন তার জন্য রয়েছে দুইবার বিনিময়। প্রথম: তার মুনিবের পক্ষ থেকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সাওয়াব। দুই: আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য যা ফরয করা হয়েছে তা পালন করার সাওয়াব। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু এ হাদীসটি বর্ণনা করার পর আল্লাহর সপথ করে বলেন, যদি আল্লাহর রাস্তার জিহাদ, হজ এবং স্বীয় মায়ের খিদমত করা না থাকতো তাহলে সে পরাধীন গোলাম হওয়ার আগ্রহ করতেন। তবে তাকে যে জিনিষটি বারণ করে তা হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। কারণ, গোলামের তার মুনিবের অনুমতি ছাড়া জিহাদে যাওয়ার সুযোগ নেই। আর মুনিব সাধারণত নিজের প্রয়োজনে বা মারা যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে জিহাদে যেতে বারণ করে। যদি হজ না থাকতো তাহলে সে পরাধীন গোলাম হওয়ার আগ্রহ করতেন। কারণ, গোলামের জন্য তার মুনিবের অনুমতি ছাড়া হজে যাওয়ার সুযোগ নেই। আর মুনিব সাধারণত তার প্রয়োজনে তাকে হজে যেতে বারণ করে। আর স্বীয় মায়ের খিদমত এবং তার আনুগত্য করা গোলামীর আগ্রহ থেকে তাকে বারণ করে। কারণ, মুনীবের আনুগত্য করা তার মায়ের আনুগত্য করা থেকে অগ্রধিকার রাখে এবং তার অধিকার মায়ের অধিকারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তার সব সুযোগ সুবিধা তার মুনিবের মালিকানাধীন। তার জন্য রয়েছে অধিকার তাকে যে কোনভাবে ব্যবহার করার। এটি তাকে তার মায়ের খেদমাত করা, আনুগত্য করা এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করা থেকে বারণ করে।