أحكام المساجد
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কাউকে মসজিদে বেচা-কেনা করতে দেখবে তখন বলবে, আল্লাহ তোমার এ ব্যবসা লাভজনক না করুন। আর কাউকে যখন দেখবে সে মসজিদে কোন জিনিস হারানোর ঘোষণা দিচ্ছে তখন বলবে, আল্লাহ তোমার জিনিসটি ফেরত না দিন।”  
عن أبي هريرة -رضي الله عنه-، أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: إذا رَأَيْتُم مَن يَبِيع أو يَبْتَاعُ في المسجد، فقولوا: لا أَرْبَحَ اللَّهُ تِجَارَتَكَ، وإذا رأيتم مَنْ يَنْشُدُ فيه ضَالَّة، فقولوا: لاَ رَدَّ الله عليك.

شرح الحديث :


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কাউকে মসজিদে বেচা-কেনা করতে দেখবে” এখানে মাফ‘ঊলকে ব্যাপকতা বুঝানোর জন্য লোপ করা হয়েছে। সুতরাং যে কোন ধরণের বেচা ও কেনাকে অন্তর্ভুক্ত কবে। সুতরাং উপরোক্ত অবস্থা যার হবে তার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিকনির্দেশনা দিয়েছেন যে, তাকে ধমক দিকে, সে ক্রেতা হোক বা বিক্রেতা তাকে মুখের ভাষায় স্পষ্ট বলবে, “আল্লাহ তোমার এ ব্যবসা লাভজনক না করুন।” এটি মূলত তার বিরুদ্ধে বদ্দো‘আ করা। অর্থাৎ আল্লাহ তোমার ব্যবসাকে লাভজনক ও উপকারী না করুক। এ দিকেই ইঙ্গিত বহন করে আল্লাহর বাণী, “তাদের ব্যবসা লাভজনক হয় নি।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৬] ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে যদি একত্রে বলা হয় ‘লা আরবাহাল্লাহু তিজারাতাকুম’ অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদের দু’জনের ব্যবসা লাভজনক না করুক- তবে তা বলাও জায়েয হবে। কেননা এতে উদ্দেশ্য সাধিত হয়ে যায়। মসজিদে বেচাকেনারত ব্যক্তিকে এভাবে ধমক দেওয়ার কারণ হলো, মসজিদ হলো আখিরাতের বাজার। সুতরাং যে ব্যক্তি একে উল্টো দিকে ধাবিত করে দুনিয়ার বাজার বানাবে তাহলে বুঝা যাবে যে, সে নিজের ক্ষতি ও পরকালে বঞ্চিত হওয়া নিজেই ডেকে নিয়ে আসছে। সুতরাং সে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ করায় তাকে শাস্তি ও ভীতি প্রদর্শন করতে এবং এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকতে তাকে এভাবে ধমক দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এ ধরণের কাজ মসজিদে করা অত্যন্ত অপছন্দনীয়।  

ترجمة نص هذا الحديث متوفرة باللغات التالية