أحكام المساجد
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় এ মসজিদসমূহ পেশাব ও নোংরা-আবর্জনার উপযুক্ত স্থান নয়। এসব তো মহান আল্লাহর যিকির এবং কুরআন তিলাওয়াত করার জন্য।’’ অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ কিছু বলেছেন।”
عن أنس -رضي الله عنه- مرفوعاً: «إن هذه المساجد لا تَصْلُحُ لشيء من هذا البَول ولا القَذَر، إنما هي لِذِكْر الله عز وجل، والصلاة، وقراءة القرآن» أو كما قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-.
شرح الحديث :
এ হাদীসে একটি ঘটনা রয়েছে যা আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার আমরা মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বসেছিলাম। ইতিমধ্যে এক বেদুঈন এলো। সে দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশাব করতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ বলতে লাগল, থাম, থাম। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, লোকজন তাকে ধমক দিতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তাকে বাঁধা দিও না, তাকে ছেড়ে দাও। অতঃপর তারা তাকে পেশাব শেষ করা পর্যন্ত ছেড়ে দিলো। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে বললেন, “দেখ এই মসজিদগুলো পেশাবের উপযোগী নয়। অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন যে, নিশ্চয় এ মসজিদসমূহ পেশাব ও নোংরা-আবর্জনার উপযুক্ত স্থান নয়। এ সব তো কেবল সালাত আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত করা ও আল্লাহর যিকির করার জন্য। অত:এব, মুমিনের উচিত আল্লাহর ঘরসমূহকে সম্মান করা এবং এতে কষ্টকর বস্তু, নাপাক ও উচ্চ আওয়াজ সমীচীন নয়; বরং এতে আদবের সাথে থাকা উচিত। কেননা মসজিদসমূহ আল্লাহর ঘর। শরহু রিয়াদুস সালেহীন, উসাইমীন রহ. (6/438)।