الأخلاق الحميدة
আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “রহমান দয়াশীলদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা যমীনবাসীদের প্রতি দয়া কর, আসমানের অধিবাসী তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।”
عن عبد الله بن عمرو -رضي الله عنهما- يبلغ به النبي -صلى الله عليه وسلم-: «الرَّاحمون يرحَمُهمُ الرحمنُ، ارحموا أهلَ الأرضِ، يرحمْكم مَن في السماءِ».
شرح الحديث :
‘দয়াশীলগণ’ অর্থাৎ যারা যমীনবাসীর ওপর দয়া করে, হোক সে মানুষ বা জীব-জন্তু। তাদের প্রতি আদর যত্ন, ইহসান ও খোজখবর নেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে সম্মান করে, রহমান তাদের প্রতি রহমান দয়া করেন। রহমান রহমত থেকে উৎপন্ন, যা স্পষ্টই বুঝে আসে। অর্থাৎ, রহমতের কারণে (আল্লাহ) তাদের প্রতি এহসান ও দয়া করেন, কারণ যেমন কর্ম তেমন ফল। “তোমরা যমীনবাসীদের প্রতি দয়া কর।” এখানে রহম করার ক্রিয়াটি ব্যাপক, যাতে সকল মাখলুক যেমন সৎ, অসৎ, জীব-জন্তু ও পশু পাখি সব তার অন্তর্ভুক্ত হয়। “আসমানের অধিবাসী তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।” অর্থাৎ যিনি আসমানে তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। এ বলে ব্যাখ্যা করা বৈধ হবে না যে, এখানে আসমানের অধিবাসী দ্বারা উদ্দেশ্য তার রাজত্ব ইত্যাদি। কারণ, কুরআন সুন্নাহ ও উম্মাতের ইজমা‘ দ্বারা আল্লাহ উপরে প্রমাণিত সত্য। আর আল্লাহ আসমানে এ কথা দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য এ নয় যে, আসমান তাকে বেষ্টন করে আছে এবং তিনি আসমানের অভ্যন্তরে। আল্লাহ এ থেকে পবিত্র, বরং এখানে ফী (মধ্যে) অর্থ হলো আলা (উপরে)। অর্থাৎ আল্লাহ আসমানের উপর। তিনি স্বীয় সকল মাখলুকের ওপর আসন গ্রহণকারী।